রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
প্রেম সোহাগের সাথে, ধর্ষণের অভিযোগ মামুনের বিরুদ্ধে

প্রেম সোহাগের সাথে, ধর্ষণের অভিযোগ মামুনের বিরুদ্ধে

বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে গত সোমবার মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী। মামুনকে একই বিভাগের বড়ভাই হিসেবে মামলার নথিতে উল্লেখ করেন তিনি। মামলায় ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে। এ ছাড়াও সে মামলায় অন্যদের মধ্যে আসামি করা হয়েছে নাজমুল হাসান সোহাগ, মো: সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ-হিল-বাকি। তাদের মধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং বাকিদের বিরুদ্ধে সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ আনা হয়। এর একদিন না যেতেই ফের ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রী। তবে এবার প্রধান আসামি করা হয়েছে পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য নাজমুল হাসান সোহাগকে। মামুনকে দুই নম্বর আসামি হিসেবে রেখে বাকি চারজনের সিরিয়াল আগের মামলার মতোই রাখা হয়েছে।

মামলাকারী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী। যদিও কয়েক মাস আগে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া অভিযোগের নথিতে তিনি একই বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তবে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মনোমালিন্যের মাত্রা বাড়লে সোহাগের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাকে হ্যারেজমেন্টের অভিযোগ করেন। অভিযোগে সোহাগের সাথে প্রেম-সঙ্ঘাত বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে অবহিত করেন এবং মামুনের কাছে সোহাগের বহিষ্কারের দাবি তোলেন। পরে মামুন তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। ওই ছাত্রী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংগঠন থেকে সোহাগকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। আর বহিষ্কার না করলে পাবলিকলি পোস্ট করে তা জানানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরে নাজমুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়।

এ দিকে, সোহাগের বিরুদ্ধে প্রেমের সম্পর্কের কথা গণমাধ্যমকর্মীদের বলা হলেও ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। এসব বিষয়ে মামলাকারী ছাত্রীপ্রদত্ত নথি নয়া দিগন্তের সংগ্রহে রয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে মামলার বাদি ওই ছাত্রীর মোবাইলে ফোন দিলে সোমবার তিনি কল রিসিভ করেননি এবং মঙ্গলবারেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ দিকে মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেকবার একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেন ঢাবির ওই ছাত্রী। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা (মামলায় তাকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে) নয়া দিগন্তকে বলেন, মামলাকারী ওই ছাত্রী আমার কাছে অভিযোগ জানায়, সেখানে তিনি সোহাগকে হ্যারাজমেন্টের জন্য অভিযোগ করেন। পরে বিষয়টি হাসান আল মামুনের ঘনিষ্ঠ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সাইফুল তাকে ৪০ দিন সময় বেঁধে দেয়। এর মধ্যে ওই ছাত্রী সোহাগকে মোবাইলে বিরক্ত করতে থাকেন (মামলাকারী ছাত্রীর নথিতে সোহাগকে বিরক্ত করার প্রমাণ মিলে)। ৪০ দিন বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই দ্বিতীয়বার নতুন করে অভিযোগ তোলেন। এবার নাজমুলকে নির্দোষ উল্লেখ করে হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করেন তিনি। পরে তাকে বলা হলো, আপনি একেকবার একেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন এটা তো ঠিক না। আপনার স্ট্যান্ডপয়েন্ট ঠিক করে স্পেসিফিক অভিযোগ তুলে ধরুন। এসব কারণেই আমাকেও মামলায় জড়ানো হয়।

শুরু থেকেই দুরভিসন্ধি নিয়ে ওই ছাত্রী ছাত্র অধিকারের সাথে মেশার চেষ্টা করেন বলে উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, একবার আমাকে বলে ছাত্র অধিকারের নেতাদের সাথে সে সম্পর্ক করতে চায়। পরে বললাম- পরিষদেই কেন করতে হবে? আপনার কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে মনে হচ্ছে। পরে কোনোভাবে যাতে আমাদেরকে জড়াতে পারেন এমনই পরিকল্পনা আপনার। এরপর থেকে তার সাথে আর কোনো কথা হয়নি।

আব্দুল্লাহ-হিল-বাকির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের গ্রুপে অনাকাক্সিক্ষত অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলত। যা আমাদের সংগঠনের সাথে যায় না। পরে বাকি তাকে গ্রুপ থেকে ব্লক করে দেয়। এ কারণেই বাকিকেও এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আর সাইফুল, সোহাগের সাথে তার ঝামেলা মীমাংসা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাই তাকেও এর মধ্যে জড়ানো হয়।

এ দিকে, অপর এক মামলায় লঞ্চের কেবিনে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ করেন একই ছাত্রী। এবার অভিযোগ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে। রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা এই মামলা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান।

মামলার এজহারে ওই ছাত্রী বলেন, জানুয়ারির ৩ তারিখে পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবাবগঞ্জের একটি বাসায় আমাকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর মামুনের সাথে দেখা করিয়ে দেয়া এবং বিষয়টির সমাধান করার কথা বলে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নাজমুল আমাকে একটি লঞ্চে চাঁদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে লঞ্চের কেবিনে নাজমুল হাসান সোহাগ আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আমি কান্নাকাটি শুরু করলে আমাকে নষ্টা মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করতে চায় নাজমুল। পরবর্তীতে গত ২০ জুন আমি বিষয়টি তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে জানাই। তিনি তখন বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করেন। এই বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের ভক্তদের দিয়ে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করারও হুমকি দেন নুর। পরে আমার নামে কুৎসা রটাতে মো: সাইফুল ইসলাম মো: নাজমুল হুদা ও আব্দুল্লাহ-হিল-বাকিকে লাগিয়ে দেয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নুর বলেন, মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসলে আমরা সরকারের স্বৈ^রশাসন, দুঃশাসন ও ভারতের দালালির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাদের আটকের রাস্তা বের করছে সরকার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com